অনেক সময় ঘুমানোর সময় কানে পোকা, মশা বা পিঁপড়া প্রবেশ করে, যার কারণে কানে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। খেলার সময় বা শুয়ে থাকা অবস্থায় প্রায়ই ছোট বাচ্চাদের কানে পোকা প্রবেশ করে। একটি কৃমি কানে প্রবেশ করলে তীব্র ব্যথা হয়, তবে কখনও কখনও এটি বিপজ্জনকও হতে পারে। আসলে, যদি কৃমি কানের পর্দায় পৌঁছায় তবে এটি কানের পর্দাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং আপনাকে বধির করে তুলতে পারে।
কানে পিঁপড়া গেলে করণীয় কী?
কান নাড়ুন
যদি আপনি অনুভব করতে পারেন যে কৃমিটি কানের মধ্যে যাচ্ছে, তার মানে এটি খুব বেশি ভিতরে যায় নি। এক্ষেত্রে কান কাত করে যে কানে কৃমি আছে সেই কানে রাখুন। এর পরে, অন্য কানের দিকে ঘা বা থাপ্পড় দিন বা কানটি একইভাবে লাফিয়ে দিন। কৃমি এর চেয়ে ছোট হলে বের হয়। মনে রাখবেন যে আপনি যখন কৃমি চলে যাচ্ছে অনুভব করবেন, তখন আপনার আঙ্গুল বা কোন কাঠি এতে রাখবেন না, কারণ এটি কৃমিকে আরও ভিতরে যেতে পারে।
কর্পূর জল
কানে পিঁপড়া বা কোনো ছোট পোকা ঢুকে গেলে যা সহজে বের হচ্ছে না, তাহলে কিছু জলে কর্পূর গুলে এই জল কানে লাগান। এর পরে, কানটি নীচের দিকে ঘুরিয়ে ফুঁ দিন। কানে পিঁপড়া বা কীট যাই থাকুক না কেন, মরে বেরিয়ে আসবে।
কানে তেল দিন
কৃমি যদি জীবিত থাকে এবং কানে চলাচল করে তবে প্রথমে যে কোনো উদ্ভিজ্জ তেল যেমন সরিষার তেল, নারকেল তেল ইত্যাদি কানে লাগান, যাতে কৃমি মারা যায়। অনেক সময় তেল ঢাললে কৃমিও বের হয়ে যায়। আপনি চাইলে তেল হালকা গরম করুন এবং হালকা গরম তেল দিন, এতে কৃমি মারা যাবে এবং তারপর কানের নিচের দিকে ঝাঁকুনি দিয়ে বেরিয়ে আসবে।
হালকা গরম জল যোগ করুন
কানে কৃমি মারা গেলে তা বের করার জন্য কানে হালকা গরম পানি ঢেলে কান নিচের দিকে কাত করে ঝাঁকুনি দিন। এতে কৃমি বেরিয়ে আসবে। উল্লেখ্য, পানি যেন খুব বেশি গরম না হয়, কারণ কান খুবই সংবেদনশীল অঙ্গ এবং কানের পর্দা খুবই নাজুক।
চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুদের কানের ব্যাপারে অভিভাবকদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে। অনেকে কান পরিষ্কার করার জন্য বাচ্চাদের কানে কানের কুঁড়ি দিয়ে থাকেন বা অনেকে পরিষ্কারের জন্য কানে তেলও দেন, অথচ এটা একেবারেই ভুল। প্রতিদিন কানে তেল বা পানি দিলে ছত্রাক সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। পিতামাতাদের জানা উচিত যে কান একটি স্ব-পরিষ্কার অঙ্গ, এটি নিজেকে পরিষ্কার করে। ছোট বাচ্চার কান পরিষ্কার করতে হলে আঙুলের ওপরে পুরানো পরিষ্কার ভেস্ট বা নরম সুতির কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন, কানের ভিতরে কখনও কিছু রাখবেন না। কেউ কেউ রুটিনে ইয়ার বাড লাগিয়ে কান পরিষ্কার করেন, এটাও ভুল উপায়, ইয়ার বাড শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শেই কানে লাগাতে হবে, নিজের ইচ্ছায় কখনই নয়।