গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ,

You are currently viewing গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ,
Image by AlexMile from Pixabay

শরীরকে সুস্থ রাখতে শারীরিক পরিশ্রম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস খুবই জরুরি। কারণটা হলে আজকাল মানুষ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করেছে এবং স্থূলতা বাড়ছে। আজকাল কাজের চাপে কারোরই সময় নেই তাই ব্যায়াম ইত্যাদি করার সময় নেই।বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় শরীরের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ

গর্ভাবস্থায় কখন ব্যায়াম শুরু করবেন
গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি গর্ভবতী হওয়ার আগে ব্যায়াম করেন তবে গর্ভাবস্থার পরে সেগুলি বন্ধ করবেন না। তাই যে সব মহিলারা গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম বন্ধ করে দেন, তাদের তা করা উচিত নয়।

প্রথম ৩ মাস হালকা ব্যায়াম করুন

 প্রথম তিন মাস আপনার খুব বেশি তীব্র শারীরিক কার্যকলাপ করা উচিত নয়। এমন কোনো ব্যায়াম বা কঠোর পরিশ্রম করবেন না যাতে আপনার শরীর অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করে। এটি এমন নয় যে আপনার প্রথম তিন মাস শারীরিক কার্যকলাপ বন্ধ করা উচিত, তবে আপনাকে কঠোর ব্যায়াম না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই সময় আপনি হাঁটা, সাঁতার কাটা, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং হালকা স্ট্রেচিং ইত্যাদি করতে পারেন। এছাড়াও, মনে রাখবেন যে আপনি যদি ইতিমধ্যে কোনও ব্যায়াম না করে থাকেন তবে গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস এটি শুরু করবেন না।

তিন মাস পর ব্যায়াম করুন
প্রথম তিন মাস পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শারীরিক পরিশ্রম বাড়াতে পারেন। তবে এই সময়েও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যায়াম শুরু করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম চালিয়ে যান যাতে শরীরের সমস্ত সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করে এবং পেশীর শক্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন
 যে কোন মাসে যে কোন ব্যায়াম শুরু করার আগে একবার আপনার ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করে নিন এই ব্যায়াম আপনার গর্ভাবস্থার জন্য উপকারী কি না। এছাড়াও, আপনি আগে যে ব্যায়াম করতে যাচ্ছেন তা আপনি করতেন কিনা তা ডাক্তারকে বলুন। কারণ আপনার শরীর যদি সেই ব্যায়ামে অভ্যস্ত না হয়, তাহলে ডাক্তার আপনাকে প্রথম তিন মাস সেই ব্যায়াম শুরু না করার পরামর্শ দিতে পারেন।

তাপমাত্রা দেখুন
 ব্যায়াম করার সময় আপনাকে কিছু বিষয়ের যত্ন নিতে হবে যেমন আপনি যে পরিবেশে ব্যায়াম করছেন তা যেন স্বাভাবিক থাকে। উদাহরণস্বরূপ, প্রচণ্ড গরম বা ঠান্ডায় ব্যায়াম করবেন না, শুধুমাত্র রক্ষণাবেক্ষণের তাপমাত্রায় ব্যায়াম করুন। এছাড়াও, ব্যায়ামের সময় ডিহাইড্রেশনের যত্ন নিন এবং সময়ে সময়ে জল পান করতে থাকুন।

গর্ভাবস্থার কঠিন যাত্রা এভাবে সহজ করুন

ব্যায়াম অনুযায়ী সঠিক পোশাক পরুন
আরও, ডাক্তার বলেছেন যে ব্যায়ামের সময় গর্ভবতী মহিলাদের সঠিক পোশাক পরা প্রয়োজন। এমন পোশাক পরুন যা আপনার পেট এবং আপনার স্তন উভয়কেই সঠিক সমর্থন দেয়। খুব ঢিলেঢালা পোশাক বা খুব টাইট পোশাক পরবেন না।

মন্তব্য করুন