শিশুদের স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে কী করবেন?

শৈশবের স্থূলতা কীভাবে প্রতিরোধ করবেন: ভারসাম্যহীন খাদ্যাভ্যাস এবং দুর্বল জীবনযাত্রার কারণে মানুষের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা দ্রুত বাড়ছে। স্থূলতার কারণে মানুষ ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো গুরুতর সমস্যার ঝুঁকিতে থাকে। শিশুদের স্থূলত্বের সমস্যা খাদ্যাভ্যাসের গোলযোগ এবং দুর্বল পুষ্টির কারণে হয়ে থাকে। স্থূলতা পরবর্তীতে অনেক মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। সম্প্রতি ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে (এনএফএইচএস) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের স্থূলতার সমস্যা দ্রুত বাড়ছে। শিশুদের স্থূলতার সবচেয়ে বড় কারণ হল জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং ভুল খাদ্যাভ্যাস। শিশুদের স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে অভিভাবকদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। চলুন এই প্রবন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক শিশুদের স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে কী করা উচিত।

শিশুদের স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে কী করবেন?

শিশুদের স্থূলতা বা শৈশবের স্থূলতা একটি গুরুতর সমস্যা। তাদের শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও স্থূলতার সমস্যা হতে পারে। ডায়েট এবং লাইফস্টাইলও শিশুদের ওজন বৃদ্ধি বা স্থূলতার কারণ হতে পারে। শহুরে জীবন এবং আধুনিক জীবনধারায় শিশুরা পর্যাপ্ত ব্যায়াম বা খেলাধুলার সুযোগ পায় না, এটিও শিশুদের স্থূলতার কারণ। স্থূলতার সমস্যা থেকে শিশুদের বাঁচাতে অভিভাবকদের উচিত সন্তানের খাবারের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা।

গর্ভাবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণ

1. স্বাস্থ্যকর খাওয়ার অভ্যাস করুন
শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য তাদের খাবারের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। শৈশব থেকেই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে স্থূলতার ঝুঁকি কমে। শিশুদের খাবারে পুষ্টির যত্ন নিতে হবে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের অন্তর্ভুক্তি এড়িয়ে চলতে হবে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-এর রিপোর্টেও স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়ার কারণে স্থূলতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।

2. শিশুদের শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখুন
শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় শিশুরা স্থূলতার প্রবণতা বেশি। বর্তমান সময়ে শিশুরা ফোনে এবং অনলাইন গেমে বেশি ব্যস্ত থাকে। এ কারণে স্থূলতাসহ নানা সমস্যার আশঙ্কা থাকে।

রান্না শেখান

3. স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খান
শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। বেশি মিষ্টি ও ভাজা খাবার খেলে স্থূলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসে আপনি শিশুকে সালাদ, শুকনো ফল এবং তাজা ফল দিতে পারেন।

4. টিভি দেখার সময় খাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন করুন
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ অভিভাবকই বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় টিভির সামনে বসিয়ে দেন। এ কারণে মন চলে যায় ধ্বংসের দিকে। টিভি দেখার সময় খাবার খাওয়ার অভ্যাসের কারণেও স্থূলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

5. প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন
বাচ্চাদের প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। প্যাকেটজাত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে স্থূলতা এবং অন্যান্য অনেক সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

শিশুদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং স্থূলতার শিকার হওয়া থেকে বিরত রাখতে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। ভারসাম্যহীন খাদ্যাভ্যাস এবং দুর্বল জীবনযাত্রার কারণে শিশুদের ওজন দ্রুত বাড়তে পারে। এ কারণে অনেক গুরুতর সমস্যার আশঙ্কাও রয়েছে।

মন্তব্য করুন