গর্ভাবস্থা প্রতিটি মহিলার জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত এবং অভিজ্ঞতা, যা শুধুমাত্র সেই মহিলার দ্বারা অনুমান করা যেতে পারে যিনি এটি অনুভব করেছেন। বাড়ির বড়রা হোন বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা, এই সময়ে গর্ভবতী মহিলাদের তাদের খাদ্যের পাশাপাশি ঘুম-জাগরণে বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং কোন অবস্থানে শুয়ে থাকা ভাল। যতদূর খাদ্য উদ্বিগ্ন, মহিলারা বেশিরভাগ ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করে। কিন্তু একটি প্রশ্ন যা প্রায়ই মহিলাদের মনে আসে তা হল গর্ভাবস্থায় ডিম নিরাপদ কি না? এই প্রশ্নে চিকিত্সকদের বিভিন্ন মতামত রয়েছে, তবে এটি মহিলার স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে তার ডিম খাওয়া উচিত কি না। আসুন জেনে নিই গর্ভাবস্থায় কতটা ডিম নিরাপদ আর কতটা নয়।
গর্ভাবস্থায় কি খাবেন না
গর্ভাবস্থায় আপনি যা খান তা সরাসরি আপনার শিশু এবং আপনি অনুভব করেন। আপনার শিশুর সঠিক বিকাশের জন্য আপনার খাদ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাই ডাক্তাররা কাঁচা বা কম রান্না করা জিনিস খাওয়ার বিরুদ্ধে পরামর্শ দেন। আসলে, যখন কাঁচা বা কম রান্না করা জিনিস খাওয়া হয়, তখন শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশের ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং এটি আপনার এবং আপনার অনাগত সন্তানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন আপনি যা খান তা যেন সম্পূর্ণ রান্না এবং স্বাস্থ্যকর হয়।
ডিম খান বা না খান
বেশিরভাগ চিকিৎসকই ডিমের হলুদ অংশ খাওয়ার পরামর্শ দেন এবং তাও সীমিত পরিমাণে। আসলে ডিমের অতিরিক্ত সেবনে সালমোনেলা নামক রোগ হতে পারে, তাই গর্ভবতী মহিলাদের ডিম থেকে তৈরি মেয়োনিজ খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। মা হতে চলেছেন মহিলাদের কাঁচা বা হাফ ভাজা ডিম খাওয়া উচিত নয়।
ডিম কিভাবে খাবেন?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গর্ভবতী মহিলারা এক থেকে দুটি সেদ্ধ ডিম খেতে পারেন। এটিতেও আপনাকে হলুদ অংশটি অপসারণ করতে হবে। সেই সাথে মনে রাখবেন ডিম ১০ থেকে ১২ মিনিটের বেশি সেদ্ধ করবেন না। আপনি যদি অমলেট খাচ্ছেন, তাহলে অমলেট পুরোপুরি সেদ্ধ হতে হবে অথবা যদি আধা ভাজা খাচ্ছেন, তাহলে অবশ্যই দুদিক থেকে রান্না করুন।
ডিম খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ডিম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
ডিমে উপস্থিত ফ্যাট এবং প্রোটিন আপনার শিশুর বিকাশের জন্য অপরিহার্য।
২টি ডিম খেলে শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
3-ডিম সেবন গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ডিম কতটা উপকারী?
একটি ডিমেও প্রচুর পুষ্টি থাকে, যা আপনার শিশুকে ভালো করতে সাহায্য করে। ডিমে উপস্থিত ভিটামিন B12 এবং কোলিন শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে এবং শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।