বাচ্চাদের জন্য গাজরের রসের স্বাস্থ্য উপকারিতা: যখন ছোট বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার কথা আসে, তখন বেশিরভাগ নতুন বাবা-মায়ের মনে আসে পোরিজ, খিচড়ি, পোহা, শসা, টমেটো এবং গাজরের মতো বিকল্পগুলি। ওটমিল, খিচড়ি এবং পোহা সহজেই বাচ্চাদের দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু যখন পুরো ফল এবং সবজির কথা আসে, তখন বাবা-মায়েরা প্রায়শই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন কিভাবে বাচ্চাদের দেওয়া যায়। অনেক সময় বাবা-মায়েরা সালাদ আকারে বাচ্চাদের গাজর, শসার মতো সবজি দিতে পছন্দ করেন। আপনি যদি একই ভুল করেন তবে থামুন। আপনার বাচ্চাদের শক্ত খাবার দেওয়ার পরিবর্তে, আপনি তাদের ফল এবং শাকসবজির রস (বাচ্চাদের পুষ্টি) দিতে পারেন।
শীতের মৌসুমে বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে গাজরের জুস দিতে পারেন। ক্যালসিয়াম, ফ্যাট, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, আয়রনের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান গাজরে পাওয়া যায়। এই সব পুষ্টি উপাদান শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। আসুন জেনে নিই শিশুদের গাজরের রস খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
ছোট বাচ্চাদের গাজরের জুস এর স্বাস্থ্য উপকারিতা
1. গাজর কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
গাজরের পুষ্টিগুণ ছোট বাচ্চাদের কোষ বাড়াতে সাহায্য করে। গাজরে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা শিশুদের আঘাত ও ক্ষত দ্রুত নিরাময়েও সাহায্য করে।
2. গাজর চোখের জন্য উপকারী
গাজরে বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায়। বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া গাজরকে ভিটামিন সি-এর একটি ভালো উৎস হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। ভিটামিন সি থাকার কারণে এটি চোখের রোগ, অন্ধত্ব, কম দৃষ্টিশক্তির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
3. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
গাজরে এমন পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা হৃদরোগের সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে। গাজর শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রভাব বাড়াতে পারে এবং লিপিড পারক্সিডেশন কমাতে সাহায্য করতে পারে (শরীরের লিপিডগুলিতে ফ্রি র্যাডিক্যালের প্রভাব)। গাজর লিপিড পারঅক্সিডেশন কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
4. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়
ছোট শিশুরা সহজেই সর্দি, কাশি, সর্দি, জ্বরের মতো রোগে আক্রান্ত হয়। শিশুরা মৌসুমী রোগে আক্রান্ত হয় কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই দুর্বল। গাজরের রস শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
5. হজমের সমস্যা দূর করে
গাজরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। ফাইবার পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা ইত্যাদি হজমের সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে। ছোট বাচ্চাদের গাজরের রস খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না এবং এটি মলত্যাগের প্রক্রিয়ার উন্নতিতেও সাহায্য করে।
কোন বয়সে শিশুদের গাজরের রস দেওয়া উচিত?
গাজরের রস 8 মাস পর থেকে ছোট বাচ্চাদের দেওয়া যেতে পারে। ছোট বাচ্চাদের দিনে 50 থেকে 80 মিলি গাজরের রস দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। গাজরের রসে শীতল প্রভাব রয়েছে, তাই এই রস শিশুদের রাতে খাওয়ানো উচিত নয়।