আধুনিক বনাম ঐতিহ্যগত অভিভাবকত্ব: সন্তানদের ভালো লালন-পালন করা প্রত্যেক পিতামাতার প্রথম কর্তব্য। অভিভাবকরা এই দায়িত্ব পালনে কোনো কসরত রাখেন না। বাচ্চাদের আচরণ এবং তাদের ভবিষ্যত মূলত তারা যেভাবে বড় হয় তার উপর নির্ভর করে। প্রধানত দুই ধরনের লালন-পালন করা হয়। প্রথমটি আধুনিক, অর্থাৎ নতুন চিন্তাধারা অনুযায়ী এবং দ্বিতীয়টি সনাতন, যা প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। বর্তমান সময়ের দিকে তাকালে আধুনিক প্যারেন্টিংয়ে অনেক পরিবর্তন ঘটতে থাকে। অন্যদিকে ঐতিহ্যবাহী লালন-পালন গড়ে ওঠে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ভিত্তিতে। বাচ্চাদের জন্য কোন লালন-পালন ভালো তা জানার জন্য আপনার উভয় পদ্ধতির সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি জানা উচিত। পরবর্তী নিবন্ধে, আমরা আধুনিক এবং ঐতিহ্যগত অভিভাবকত্বের মধ্যে পার্থক্য জানব।
আধুনিক প্যারেন্টিং এর উপকারিতা
- সন্তানের সাথে পিতামাতার বন্ধন দৃঢ় হয়।
- শিশুরা তাদের বাবা-মায়ের সাথে খোলাখুলিভাবে তাদের চিন্তাভাবনা শেয়ার করতে পারে।
- শিশুদের নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে এবং তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
- আধুনিক অভিভাবকত্বে, শিশুরা তাদের নিজস্ব স্থান পায়। এর মাধ্যমে তারা বুদ্ধিমান ও সৃজনশীল হয়ে উঠতে পারে।
- শিশুরা তাদের নিজস্ব ব্যক্তিত্ব তৈরি করতে পারে। তাদের ওপর পারিবারিক কোনো চাপ নেই।
আধুনিক প্যারেন্টিং অসুবিধা
- বেশি সুযোগ দেওয়ার কারণে অনেক সময় শিশুরা নিজের জন্য ভুল সিদ্ধান্ত নেয় বা নষ্ট হয়ে যায়।
- আধুনিক অভিভাবকত্বে, শিশুরা তাদের পিতামাতার কাছ থেকে দূরে থাকতে পারে।
- আধুনিক অভিভাবকত্বে, শিশুরা তাদের পিতামাতার প্রতি স্নেহ রাখে কিন্তু তাদের দায়িত্বকে দূরে রাখে।
- আধুনিক লালন-পালনে অধিক শিথিলতার কারণে শিশুদের আচরণ কখনো কখনো রাগান্বিত ও একগুঁয়ে হয়ে যায়।
ঐতিহ্যগত প্যারেন্টিং উপকারিতা
- ঐতিহ্যগত লালন-পালনে, শিশুরা সম্পর্কের গুরুত্ব, পিতামাতা এবং তাদের পরিবারের গুরুত্ব বোঝে।
- ঐতিহ্যগত লালন-পালনে, তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি শুধুমাত্র পিতামাতা এবং সন্তানদের পারস্পরিক সম্মতিতে নেওয়া হয়।
- প্রথাগত অভিভাবকত্বে শিশুরা তাদের পিতামাতার প্রতি যে সম্মান দেখায় তা আধুনিক অভিভাবকত্বে দেখা যায় না।
- সততা, সততা, ভালোবাসার মতো নৈতিক মূল্যবোধ ঐতিহ্যগত প্রতিপালনের কারণে শিশুদের মধ্যে বেশি থাকে।