ঘুম আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি একজন ব্যক্তির পর্যাপ্ত ঘুম না হয় তবে সে তার প্রকৃতিতে বিরক্তি, উদ্বেগ, মেজাজের পরিবর্তন ইত্যাদি সমস্যা অনুভব করতে পারে। কিন্তু কিছু মানুষ আছে যারা অতিরিক্ত ঘুমায়। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে যেমন আবহাওয়ার পরিবর্তন, দুশ্চিন্তা বা অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ঘুমের ব্যাঘাত, ওষুধ সেবন, অ্যালকোহল সেবন, কোনো গুরুতর অসুস্থতায় ভোগা ইত্যাদি। অন্যদিকে অতিরিক্ত ঘুমের পাশাপাশি কিছু লক্ষণ যেমন ক্ষুধা হ্রাস, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, একাগ্রতার অভাব, অস্থিরতা, দিনের বেলা ঘুম, ক্লান্ত বোধ, চিন্তা করার ক্ষমতা প্রভাবিত, শক্তির অভাব ইত্যাদির সম্মুখীন হতে পারে। এমতাবস্থায় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঘুমানোর অভ্যাস দূর করতে হবে। আজকের নিবন্ধটিও এই বিষয়ে। আজ, এই নিবন্ধটির মাধ্যমে, আমরা আপনাকে বলব যে কোন ঘরোয়া প্রতিকারগুলি আপনার অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা দূর করতে খুব কার্যকর হতে পারে।
অতিরিক্ত ঘুম থেকে রেহাই পাবার উপায় কী ?
1 – জল খাওয়া
পানি আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাবে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ব্যক্তি ক্লান্ত বোধ করতে পারে। পানির অভাবে অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যাও হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে একজন মানুষের সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন। পানি পান করলে শুধু ক্লান্তিই দূর হয় না একজন মানুষ তার কাজে মনোযোগী হতে পারে।
2 – ক্যাফেইন গ্রহণ
কফি খেলে ঘুম দূর হতে পারে। ব্যাখ্যা করুন যে কফির ভিতরে ক্যাফেইন পাওয়া যায় যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে। এটি শুধুমাত্র কার্যকলাপ বৃদ্ধিতে সহায়ক নয় কিন্তু ব্যক্তিকে সতেজও করতে পারে। অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তি পেতে কফি আপনার জন্য খুবই উপকারী হতে পারে। যাইহোক, একজনকে অত্যধিক পরিমাণে ক্যাফেইন খাওয়া এড়াতে হবে।
3 – ঝরনা ব্যবহার
যদি লোকটি অতিরিক্ত ঘুমায় বা সে যদি একটানা ঘুমায় তাহলে তাকে শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে ঝরনা চালু করতে হবে এবং মাথায় পানি পড়তে দিতে হবে। ব্যাখ্যা করুন যে এটি করলে শুধু মেজাজই সতেজ থাকে না, ঘুমও দূর হয়। এছাড়াও, একজন ব্যক্তি গোসল করে তার ক্লান্তি দূর করতে পারেন।
4- একটি ছোট ঘুম নেওয়ার মাধ্যমে
যদি ব্যক্তির বারবার ঘুম আসে বা তিনি অতিরিক্ত ঘুমিয়ে থাকেন, তবে একটি ছোট ঘুমও ঘুম দূরে রাখতে খুব উপকারী হতে পারে। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে এটির মাধ্যমে কেবল একজন ব্যক্তির অলসতা দূর করা যায় না, এটি ঘুম দূর করতেও খুব কার্যকর। এ সংক্রান্ত একটি গবেষণাও সামনে এসেছে, যা প্রমাণ করে যে অল্প ঘুমালে শুধু স্মৃতিশক্তিই তীক্ষ্ণ হয় না, মনকেও ভারসাম্য রাখে।
5 – ব্যায়ামের সাহায্যে
অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যাও দূর করা যায় ব্যায়ামের মাধ্যমে। আমরা আপনাকে বলি যে কখনও কখনও অতিরিক্ত ঘুমের পিছনে ওজন বৃদ্ধিও একটি কারণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যায়াম করলে শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে না, হাইপারসোমনিয়া, যা ঘুম সংক্রান্ত সমস্যা, তাও কাটিয়ে উঠতে পারে। একজন ব্যক্তির জন্য প্রতিদিন প্রায় আধা থেকে 1 ঘন্টা ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
দ্রষ্টব্য – উপরে উল্লিখিত পয়েন্টগুলি দেখায় যে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার আপনার জন্য অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে খুব কার্যকর হতে পারে। কিন্তু সমস্যা বাড়তে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এমন হতে পারে যে ব্যক্তিটি কোনো মানসিক সমস্যায় ভুগছেন বা এটি কোনো গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণও হতে পারে।