কাঁচা আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো কী কী?

আদা শুধু চায়ের স্বাদই বাড়ায় না, কাঁচা আদা সেবনও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। কারণ কাঁচা আদার মধ্যে অনেক ঔষধি গুণ পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার করে। ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন, আয়রন, জিঙ্ক এবং ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান কাঁচা আদার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, যা খেলে অনেক রোগ নিরাময় হয়। অন্যদিকে, কাঁচা আদা খেলে সর্দি-কাশির মতো ভাইরাল সংক্রমণ অনেকাংশে এড়ানো যায়। এমন পরিস্থিতিতে আমরা এখানে আপনাদের জানাবো কাঁচা আদা খাওয়ার কী কী উপকারিতা রয়েছে। আসুন জেনে নিই।

পেটের জন্য উপকারী- কাঁচা আদা পেটের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। যেখানে আদা হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে। এছাড়াও, যদি কারও পেটে ব্যথা বা ক্র্যাম্পের মতো অভিযোগ থাকতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি পেট ব্যথার সমস্যায় অস্থির থাকেন, তাহলে কাঁচা আদা খেতে পারেন।

মাইগ্রেনের ব্যথায় উপকারী- কাঁচা আদা মাইগ্রেনের ব্যথায় খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। কারো যদি মাইগ্রেনের অভিযোগ থাকে তাহলে তার প্রতিদিন কাঁচা আদা খাওয়া উচিত। অন্যদিকে, আপনি যদি কখনও ক্লান্ত বোধ করেন তবে আপনার আদা খাওয়া উচিত।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কম- কাঁচা আদা হার্টের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। আদা ব্যবহারে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো যায়। যদি কারো কোলেস্টেরলের অভিযোগ থাকে, তাহলে তার প্রতিদিন কাঁচা আদা খাওয়া উচিত।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে- কাঁচা আদা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই কারো উচ্চ রক্তচাপের অভিযোগ থাকলে প্রতিদিন কাঁচা আদা খাওয়া উচিত।

কাঁচা আদা খাওয়ার অপকারিতাগুলো

প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরে আদা ব্যবহার করা হয়। অনেকেই কাঁচা আদা খান। কিন্তু কাঁচা আদা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আদার রয়েছে ঔষধি গুণ। কিন্তু ভুল উপায়ে আদা খেলে পেট, ত্বক এবং শরীরের অন্যান্য অংশে সমস্যা হতে পারে। বেশি পরিমাণে আদা খেলেও আপনার সমস্যা হতে পারে। দিনে ৫ গ্রামের বেশি আদা খাওয়া উচিত নয়। আপনিও যদি কাঁচা আদা খান, তাহলে ক্ষতিটা আগে জেনে নিন।

পেটে গ্যাসের সমস্যা
কাঁচা আদা খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। আদার প্রভাব গরম। এটি সবজি বা অন্য কোনো আকারে রান্না করে খাওয়া হয়। কাঁচা আদা খেলে পেটে ব্যথা, গ্যাস এবং বদহজম হতে পারে।

অম্বল
কাঁচা আদা খেলে বুকে জ্বালাপোড়া হতে পারে। আদা খেলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা বেড়ে যায়। কখনও কখনও এই ব্যথা বুকের এলাকায়ও হয়। যাদের হৃদরোগ আছে তাদের কাঁচা আকারে আদা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।

 ডায়রিয়া হতে পারে
কাঁচা আদা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত পরিমাণে আদা খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। ডায়রিয়া বা বমি হলে আদা খাওয়া বন্ধ করুন। গর্ভবতী মহিলাদের অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা আদা বা আদা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না।

চামড়া ফুসকুড়ি
কাঁচা আদা খেলে ত্বকে ফুসকুড়ি হতে পারে। কাঁচা আদা কিছু মানুষের জন্য অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। এ কারণে ত্বকে লালচেভাব, ব্যথা, ফুসকুড়ি ও ফুসকুড়ি দেখা যায়। আদা অতিরিক্ত সেবনের ফলে চোখে শুষ্কতা দেখা দিতে পারে।

পিত্তথলিতে কাঁচা আদা খাবেন না
পিত্তথলিতে পাথর হলে কাঁচা আদা একেবারেই খাবেন না। আদা খেলে শরীরে বেশি পরিপাক রস তৈরি হবে যার কারণে আপনি ব্যথা অনুভব করতে পারেন।

মন্তব্য করুন