বন্ধুত্বপূর্ণ অভিভাবকত্বের এই বিশেষ টিপসগুলি গ্রহণ করুন

আপনার সন্তানও কি কিছু শোনে না? সব কিছুর উপর জোর দেয়? অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের এই অভ্যাসের জন্য বিরক্ত হন যে তারা তাদের কথা সহজে শোনেন না। এর কারণ ভুল লালন-পালনও হতে পারে। লালন-পালনের ভুল পদ্ধতি শিশুর আচরণকেও প্রভাবিত করে। এই কারণে, তারা একগুঁয়ে এবং তাদের মন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে চায়। আপনি যদি বন্ধুত্বপূর্ণ অভিভাবকত্বের পদ্ধতি অবলম্বন করেন, তবে শিশুরা কেবল আপনাকে সবকিছুতেই মেনে চলবে না, তবে তাদের আচরণে আপনার প্রতি আগের চেয়ে আরও বেশি শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা প্রতিফলিত হবে। নিম্নলিখিত নিবন্ধে, আমরা আপনাকে কিছু সহজ টিপস বলব, যার সাহায্যে আপনি সন্তানের লালন-পালন উন্নত করতে পারেন।

বন্ধুত্বপূর্ণ অভিভাবকত্বের এই বিশেষ টিপসগুলি গ্রহণ করুন

বন্ধু বানানো

বাচ্চারা যদি আপনার কথা না শোনে তবে সেটা আপনার দোষ। সন্তানের সাথে বন্ধুত্ব করুন। বন্ধুত্বপূর্ণ অভিভাবকত্বের মাধ্যমে, আপনি সন্তানকে আপনার কথার সাথে সম্মত হতে পারেন। বাবা-মাও ভালো বন্ধু হবেন, তাহলে সন্তানরা তাদের মনের সব কথা আপনার সাথে শেয়ার করতে পারবে।

বাবা-মায়ের এই ভুল সন্তানকে পর্দার আসক্তির শিকার করে তুলতে পারে

শিশুর স্থান দিন
শিশুকে স্থান দেওয়া প্রয়োজন। অনেক সময় বাবা-মা সন্তানদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। এই পদ্ধতি সঠিক নয়। বাচ্চাদের একটু জায়গা দিন। সবকিছুতে বাধা দেবেন না। আপনি যদি জানেন যে সন্তানের কোনও সিদ্ধান্ত তার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে, তবে আপনার কথা চাপিয়ে দেবেন না। শিশুকে ব্যাখ্যা করুন এবং তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করুন

একটি প্রশংসা দিতে
অনেক সময় মা-বাবা সন্তানকে ভালো করে লালন-পালন করতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কঠোর হন। এই পদ্ধতিও সঠিক নয়। শিশুর সাথে নম্র ব্যবহার করুন এবং তার প্রশংসা করুন। শিশুরা শুধু আপনার উৎসাহ চায়। আপনাকে খুশি দেখে তারা আরও বেশি বেশি ভালো কাজ করার চেষ্টা করবে।

বই পড়া কি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে?

শিশুর কাছ থেকে পরামর্শ নিন
ঘরের ব্যাপারে সন্তানের পরামর্শ নিতে হবে। এতে শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং সে আপনার সিদ্ধান্তকেও সম্মান করবে। এই ধরনের শিশু, যাদের পরামর্শ তাদের পিতামাতারা অনুসরণ করে, তারা প্রায়শই পরে বাধ্য হয়ে ওঠে। এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়।

সবকিছু সম্পর্কে কথা বলুন
বাবা-মায়েরা তাদের সিদ্ধান্ত সন্তানদের জানান এবং তা মেনে চলতে বাধ্য করেন। কিন্তু এই পদ্ধতি সঠিক নয়। আপনার সন্তানকে প্রথমে যে কোন পক্ষের উভয় দিক বলুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি শিশুকে যে কাজটি করতে বলছেন তা না করার সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই শিশুর জানা উচিত। এভাবে শিশুরা আপনাকে এড়াতে পারবে না।

মন্তব্য করুন