একজন অভিভাবক হিসেবে আপনার দায়িত্ব সন্তানকে সঠিক ও ভুলের পার্থক্য বোঝানো। জীবনে প্রতিদিন সঠিক এবং ভুলের মধ্যে একটি বেছে নিতে হয়। তিনি যদি সঠিক পছন্দ করেন তবে আরও ভাল ফলাফল আসবে। অন্যদিকে, বারবার ভুল বাছাই করে, একজন ব্যক্তি সমস্যায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। লালন-পালনের সময়, যদি শিশুকে সঠিক এবং ভুলের মধ্যে পার্থক্য করার উপায় বলা হয়, তবে পরবর্তীতে সে নিজের জন্য একটি ভাল পথ বেছে নিতে সক্ষম হবে।
বাচ্চাদের সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য শেখানো
1. সঠিক এবং ভুল সনাক্ত করতে শেখান
একটি শিশুকে সঠিক এবং ভুলের পার্থক্য বোঝানো এত সহজ নয়। যাইহোক, কিছু অভিভাবক খুব শৈল্পিক উপায়ে শিশুকে এই গুণাবলী শেখান। শিশুকে সঠিক এবং ভুল শেখাতে, তাকে একটি উদাহরণ দিন। মনে রাখবেন উদাহরণ যেন তার রুটিন এবং বয়স অনুযায়ী হয়। উদাহরণ, গেম, পড়াশোনা এবং কার্টুন ইত্যাদির সাহায্যে আপনি শিশুকে জীবনের বড় সিদ্ধান্ত নিতে শেখাতে পারেন।
2. সন্তানের সামনে আপনার যুক্তি রাখুন
ছোট বাচ্চারা কেবল তাই বোঝে যা তারা নিজেদের সাথে সম্পর্কিত করতে পারে। জটিল বা জটিল ভাষায় তাদের কিছু ব্যাখ্যা করবেন না। সহজ ভাষায় আপনার সব যুক্তি শিশুর সামনে তুলে ধরুন। তার মতামতও জেনে নিন। শিশুর মতামতের ভিত্তিতে আরও কথা বলুন। শিশু যদি ভুল কিছু বলে, তাহলে তা পুরোপুরি উড়িয়ে দেবেন না। বরং উল্টো আপনার যুক্তিগুলো সন্তানের সামনে তুলে ধরুন।
3. সন্তানের দিকটি বুঝুন
সন্তানের দিকটা বোঝাও জরুরি। এটা জরুরী নয় যে আপনি যা বলছেন তা আপনার সন্তানের সিদ্ধান্তও হওয়া উচিত। একজন অভিভাবক হওয়ার কারণে, আপনাকে কেবল তার সিদ্ধান্তকে সন্তানের দৃষ্টিকোণ থেকে বুঝতে হবে না, আপনি তাকে আপনার সিদ্ধান্তের মতো গুরুত্ব দিতে হবে। শিশুকে সঠিক ও ভুল বোঝানোর পাশাপাশি শিশুর কথা সম্পূর্ণ স্বাচ্ছন্দ্যে শুনুন।
4. আপনার মতামত আরোপ করার চেষ্টা করবেন না
সন্তানের কাছে সঠিক ও ভুলের পার্থক্য বোঝাতে গিয়ে অভিভাবকরা প্রায়ই সন্তানের ওপর তাদের পক্ষ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই পদ্ধতি সঠিক নয়। সন্তানকে ভালোবেসে বুঝিয়ে বলুন। যদি তিনি আপনার সাথে একমত না হন, তাহলে সেখানেই শেষ করুন। কয়েকদিন পর আবার বাচ্চার সাথে কথা বলুন এবং এইবার আরও ভালো যুক্তি দিয়ে আপনার কথা রাখুন।
5. অন্য পক্ষকেও বলুন
সবসময় শিশুকে যেকোনো কিছুর উভয় দিকই বুঝিয়ে বলুন। যেমন তার পছন্দের খাবারের সুবিধা বলুন এবং অসুবিধাও বলুন। এতে করে তিনি বুঝতে পারবেন দুইয়ের পার্থক্য। সবকিছুর দুটি দিক আছে। যেমন, যদি শিশুর শিক্ষার বিষয় হয়, তাহলে কোনো বিষয় বেছে নেওয়ার আগে শিশুর ক্যারিয়ারে সেই বিষয়ের প্রয়োজনীয়তা জেনে নেওয়া উচিত।