ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়

You are currently viewing ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়
Image by Mohamed Hassan from Pixabay

আপনি যদি আপনার ওজন বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত হন এবং তা কমানোর জন্য আপনাকে মনহীনভাবে ব্যায়াম করতে হয়, তাহলে চিন্তা করবেন না। কারণ আমরা আপনাকে এমন কিছু সহজ উপায় বলছি, যেগুলো অবলম্বন করলে আপনার ব্যায়াম করারও প্রয়োজন হবে না, ওজনও ধীরে ধীরে কমবে। তাহলে আর দেরি কিসের, পড়ুন আর অবলম্বন করুন ওজন কমানোর এই অনন্য পদ্ধতিগুলো।

ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়

1 সক্রিয় থাকুন – এখানে আমরা ব্যায়াম বলতে চাই না, বরং আপনাকে অলস না হয়ে সবকিছুর প্রতি একটু সক্রিয় মনোভাব অবলম্বন করতে হবে। এর সাথে রক্ত সঞ্চালনও বাড়বে এবং আপনার শরীর হালকা ব্যায়াম করতে থাকবে।

যেসব খাবার আপনি কখনই রেফ্রিজারেটরের দরজায় সংরক্ষণ করবেন না

2 চর্বিযুক্ত খাবার – আপনাকে অবশ্যই পিজা, পাস্তা, পনির, বার্গারের মতো জিনিস খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে কারণ এটি একদিনে আপনার ওজনকে ভারসাম্যহীন করে। এগুলিতে শস্য থেকে তৈরি জিনিসের চেয়ে অনেক বেশি চর্বি থাকে। মনে রাখবেন, তাদের মোহ ত্যাগ না করলে ওজন কমানো সহজ নয়।

3 জল – সারা দিনে প্রতি ঘন্টায় সীমিত পরিমাণে জল পান করুন। খাবারের কিছুক্ষণ আগে এবং পরে অল্প পরিমাণে পানি পান করুন। এর সাথে, বিপাক প্রক্রিয়া সঠিকভাবে ঘটবে।

4 ক্ষুধার চেয়ে কম খান- এক সাথে বেশি না খেয়ে বরং ক্ষুধার তুলনায় একটু কম খান, যাতে হজম ঠিকমতো হয় এবং শরীরে চর্বি জমে না। এ ছাড়া রাতের খাবারে সালাদ, ফল বা তরল খাবারের দিকে মনোযোগ দিন।

5 টুকরা করে খান – আপনার মোট খাদ্য তিন থেকে চার বার অল্প পরিমাণে নিন। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের মাঝে হালকা কিছু খেতে থাকুন। আপনি এতে ফল, সালাদ বা স্যুপও অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য লবণের প্রধান সুবিধা কী কী

6 রাতের খাবার – রাতের খাবার এবং শোবার সময় দুই থেকে তিন ঘন্টার ব্যবধান রাখতে ভুলবেন না, যাতে খাবার হজম করা সহজ হয়। এই সময়ে, আপনার বাড়ির ছোট ছোট কাজ করা বা হাঁটা শুরু করা উচিত, যাতে হজম প্রক্রিয়া ভাল হয়।

7 ভাল ঘুম – ঘুমের অভাব এবং অতিরিক্ত ঘুম উভয়ই ক্ষতিকারক এবং অনিয়ন্ত্রিত ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শারীরিক ক্রিয়াকলাপ সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য 6 থেকে 8 ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। কম ঘুমের কারণেও মানসিক চাপ বাড়তে পারে, অনেক সময় মানসিক চাপও স্থূলতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

8 প্রোটিন এবং ফাইবার – আপনার খাদ্যে প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ জিনিস গ্রহণ করুন। এতে আপনার পেটও বেশিক্ষণ ভরা থাকবে এবং আপনি অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ থেকে রক্ষা পাবেন। এছাড়াও ফাইবার আপনাকে শক্তি দেবে যা সক্রিয় থাকতে সাহায্য করবে এবং আপনার ওজন কমবে।

তামার পাত্রে জল খাওয়ার উপকারিতা

9 গরম পানি- সকালে খালি পেটে গরম পানি পান করলে পেটের মেদ কমে যায়। খাবার খাওয়ার পর গরম পানি খেলে চর্বি জমা হওয়া থেকে রক্ষা পাবে এবং হজমে সাহায্য করবে। এছাড়া দিনে দুই থেকে তিনবার গরম পানি খেলে আপনার ওজন খুব দ্রুত কমে যাবে।

10 বিশ্রাম – আপনি যদি প্রচুর বিশ্রাম নিতে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন তবে এটি এড়িয়ে চলুন। অফিসে বা বাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে থাকবেন না। এতে শরীরের নিচের অংশে চর্বি জমতে পারে এবং পেটের চর্বিও বাড়তে পারে। ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ পর পর ঘোরাফেরা করুন, যাতে শরীরে মেদ জমতে না পারে।

মন্তব্য করুন