প্রত্যেক পিতা-মাতাই চান সন্তান যেন খেলতে থাকে এবং লাফাতে থাকে। তবে অনেক সময় কিছু কারণে শিশুদের মধ্যেও বিষণ্নতার সমস্যা দেখা দেয়। বিষণ্নতায় শিশুটি অন্যান্য শিশুদের তুলনায় অলস হয়ে পড়ে। এছাড়া কোনো কাজে তার কোনো আগ্রহ নেই। যার কারণে সে ধীরে ধীরে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে থাকে। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের যত্নে এবং কিছু ব্যবস্থার সাহায্যে শিশুর বিষণ্নতা কমানো যায়। এমন পরিস্থিতিতে বাবা-মায়ের উচিত সন্তানকে সময় দেওয়া এবং তার সমস্যার মূল কারণ বোঝার চেষ্টা করা। এর পরেও যদি শিশুটি বিষণ্নতায় থেকে যায়, তাহলে ডাক্তারের সঠিক পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। শিশুদের মধ্যে বিষণ্নতার লক্ষণ এবং তাদের প্রতিরোধ সম্পর্কে আরও জানুন।
শিশুদের মধ্যে হতাশার লক্ষণগুলি কী কী?
শিশুদের মধ্যে বিষণ্নতার লক্ষণ
শিশুদের মধ্যে বিষণ্নতার সমস্যা হলে অনেক ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। বিষণ্নতায় শিশুরা বন্ধুদের সাথে খেলতে যেমন বাইরে যায় না, তেমনি বাড়ির কোনো কাজও এড়িয়ে যায়। অনেক সময় বিষণ্নতার কারণে শিশু ভয় পেতে শুরু করে। জেনে নিন শিশুদের বিষণ্নতার প্রধান কিছু লক্ষণ-
শিশু বিষণ্নতা
বিষণ্নতায় শিশু সবসময় হতাশ হয়। কোনো কাজ করতে তার ভালো লাগছে না। সেই সঙ্গে তার শক্তিও কমে যায়। সে আগের মতো কাজ করতে উৎসাহ দেখায় না।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন
বিষণ্নতায় শিশুর দৈনন্দিন অভ্যাসের পরিবর্তন হয়। সে আগের মতো খাবার খায় না। কখনো কখনো তারা খাবার খেতেও দ্বিধা করে।
খিটখিটে হতে
বিষণ্নতায় শিশু খিটখিটে হয়ে যায়, তাকে কিছু কাজ করতে বলা হলে সে তা করতে অস্বীকার করে এবং একা বসে থাকে।
এ ছাড়া শিশুর আত্মবিশ্বাসের অভাব, ঘুমের পরিবর্তন, মাথাব্যথা এবং সে ক্লান্ত বোধ করতে শুরু করে।
শিশুকে বিষণ্ণতা থেকে বাঁচানোর উপায়
ঘরে বসেই সন্তানের বিষণ্নতার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন বাবা-মা। এ জন্য আরও কিছু ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।
- সন্তানের সাথে সময় কাটান। অভিভাবকদের উচিত যতটা সম্ভব সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানো।
- সন্তানের মনের কথা বুঝুন। শিশুকে কোনো কিছুতে বকাবকি না করে তার মনের কথা বুঝে ভালোবাসা দিয়ে বুঝিয়ে দিন।
- ঘন ঘন শিশুর স্কুল পরিবর্তন করবেন না। শিশু প্রাথমিক জীবনে ঘন ঘন পরিবর্তনের সাথেও নিজেকে মানিয়ে নিতে সক্ষম হয় না।
- প্রতিটি বিষয়ে শিশুর সাথে কথা বলুন। বুঝুন তার মানসিক অবস্থা।
- সন্তানের সামনে বাবা-মায়েদের ঝগড়া করা উচিত নয়। এর প্রভাব পড়ে শিশুর মনেও।
- এর পরেও যদি শিশুর বিষণ্নতা থেকে যায় তবে তাকে ডাক্তার দেখান। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শে তার যথাযথ চিকিৎসা করান।