রাতে ভাত না রুটি খাওয়া উচিত?
আমরা যতই পনির, ছোলা-কুলচা বা আমিষ খাই না কেন, কিন্তু আজও রোটি-সাবজি এবং ডাল-ভাতই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করা হয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই খুব আনন্দের সাথে খায়। কিন্তু আজকাল মানুষের মধ্যে ওজন কমানোর উন্মাদনা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে লোকেরা প্রথমে রাতে ভাত এবং রুটি খাওয়া বন্ধ করে কারণ এতে কার্বোহাইড্রেট থাকে। তবে আমরা আপনাকে বলি যে কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে একজন মানুষ ভাবেন কী খাবেন, কী খাবেন না? আপনিও যদি এমনটি ভাবেন, তাহলে আজ আমরা আপনাকে বলতে যাচ্ছি যে আপনার রাতে রুটি নাকি ভাত খাওয়া উচিত?
![রাতের খাবারে ভাত না রুটি খাওয়া উপকারী?1](https://bangaly.in/wp-content/uploads/2023/02/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%801-min-1024x536.webp)
ওজন কমানোর জন্য, লোকেরা প্রথমে তাদের খাদ্য থেকে রুটি এবং ভাত উভয়ই বাদ দেয়। কিন্তু এগুলোকে আপনার খাদ্য থেকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দিলে শরীরে দুর্বলতা দেখা দেয়।
রুটি এবং ভাত উভয়েরই নিজস্ব গুণ রয়েছে। রুটি খেলে সারাদিন পেট ভরা থাকে, ভাতে উপস্থিত স্টার্চের কারণে তা দ্রুত হজম হয়।
ভাত ও রুটির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বলতে গেলে পার্থক্য শুধু সোডিয়ামের পরিমাণে। ভাতে খুব কম সোডিয়াম থাকে, যখন রোটিতে (120 গ্রাম ময়দা) 190 মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে। আপনি যদি আপনার খাদ্য থেকে সোডিয়াম বাদ দিতে চান, তাহলে আপনি রুটি খাওয়া বন্ধ করতে পারেন।
ভাতে ফাইবার, প্রোটিন ও ফ্যাটের পরিমাণ রোটির তুলনায় কম কিন্তু ভাতে ক্যালরির পরিমাণ রোটির চেয়ে বেশি। এর পাশাপাশি ভাতে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন থাকায় তা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটিও সহজে হজম হয়।
রুটি শরীরে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস পৌঁছে দেয়। যেখানে ভাতে ক্যালসিয়াম থাকে না এবং এতে পটাশিয়াম ও ফসফরাসও থাকে অল্প পরিমাণে।
রাতের খাবার এবং সকালের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বেশি, তাই রাতের খাবারে রোটি খাওয়া ভালো। মিসির রোটি রাতের খাবারেও খাওয়া যেতে পারে কারণ এতে প্রোটিন বেশি থাকে।
যদিও ভাত এবং রুটি উভয়ই স্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য ভালো, কিন্তু ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ভাতের চেয়ে রোটি একটি ভালো বিকল্প।
আপনিও কি রাতে ভাত খান?
আপনি প্রায়ই লোকেদের বলতে শুনেছেন যে রাতে ভাত খেলে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু রাতে ভাত খেলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে, এ বিষয়ে কতটা সত্যতা রয়েছে। এ বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।
ভারতীয় খাবারে ভাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এটি মানুষের প্রিয় খাবার। কিন্তু বর্তমান সময়ে ভাত খাওয়া কতটা সঠিক বা ভুল সে সম্পর্কে জানা জরুরি। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে রাতে ভাত খেলে ওজন বাড়ে, আবার কেউ কেউ মনে করেন রাতে ভাত খেলে ঠাণ্ডা লাগে। সর্বোপরি, রাতে ভাত খাওয়া কতটা সঠিক বা ভুল সে সম্পর্কে জানা জরুরি। আজকের নিবন্ধটি এই বিষয়ে। আজকে এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাবো রাতে ভাত খাওয়ার কী কী উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। আরও পড়ুন
রাতে ভাত খাওয়ার উপকারিতা
রাতে যদি ভাত খাওয়া হয় তবে তা শুধু হজম প্রক্রিয়াকেই সুস্থ রাখে না, পেট সংক্রান্ত অনেক সমস্যাও দূরে থাকে।
রাতে ভাত খেলে শরীরে শক্তি ও শক্তি বজায় থাকে। কারণ ভাতের ভিতরে জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে। এমতাবস্থায় এর ব্যবহারে শক্তি বজায় রাখা যায়।
রাতে ভাত খাওয়ার অপকারিতা
রাতে ভাত খাওয়া হলে তা ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
রাতে ভাত খেলেও সাইনাস এবং অ্যাজমার সমস্যা বাড়তে পারে।
যদি কেউ রাতে ভাত খান, তাহলে তাকে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হতে পারে।
রাতে ভাত খেলে গলা ব্যাথা বাড়তে পারে।
দ্রষ্টব্য – রাতে ভাত খাওয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই হতে পারে, তাই ডাক্তারের পরামর্শে এটি আপনার ডায়েটে যোগ করুন।