লাইফ স্কিল ফর চাইল্ড ইন বাংলা: সঠিক শিক্ষার পাশাপাশি জীবন দক্ষতা শিশুদের ভালো লালন-পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জীবন দক্ষতা বলতে সেই পদ্ধতিগুলিকে বোঝায় যা শিশুর জীবন যাপনে কাজে লাগবে। এতে শিশুর ভবিষ্যৎ উন্নত হবে এবং সে কারো ওপর নির্ভরশীল হবে না। ছোট দক্ষতা সবসময় শিশুদের জন্য দরকারী। অনেক বাবা-মা সন্তানকে দক্ষতা শেখানোর জন্য বড় হওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুকে শৈশব থেকেই জীবন দক্ষতা সম্পর্কে বলা উচিত। ছোটবেলায় শিশুদের মন প্রখর হয়। তারা নতুন জিনিস সহজেই মনে রাখে। এমতাবস্থায়, আপনি যদি শিশুকে নতুন কার্যকলাপ বা দক্ষতা শেখান, তাহলে শিশুটি তাদের প্রতি পূর্ণ আগ্রহ দেখাবে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই সবকিছু শিখবে।
সন্তানকে স্বাবলম্বী ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলুন এ ভাবে
1. নিজের যত্ন নিন
আপনি যদি শিশুকে স্বাবলম্বী করতে চান তবে তাকে তার কাজ নিজে করতে দিন। যেমন আপনার কাপড় ভাঁজ করা, আপনার ঘর পরিষ্কার করা, আপনার জিনিসপত্রের যত্ন নেওয়া ইত্যাদি। এতে করে শিশু বুঝতে পারবে যে কোনো কাজের জন্য তাকে অন্যের ওপর নির্ভর করতে হবে না। শিশু যখন শৈশব থেকেই নিজেকে সামলাতে অভ্যস্ত হবে, তখন সে সামনে বড় চ্যালেঞ্জের ভয় পাবে না।
![রান্না শেখান](https://bangaly.in/wp-content/uploads/2023/04/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8-min-1024x536.webp)
2. রান্না শেখান
এটি এমন একটি শিল্প যা সর্বদা শিশুর কাজে লাগবে। শিশুকে তার নিজের নাস্তা করতে দিন। বা শিশুর সাথে নতুন খাবার তৈরি করুন। এতে শিশু রান্নার প্রতি আগ্রহী হবে। শিশুকে মশলা, শাকসবজি এবং ফলের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলুন। খাবার তৈরি করতে যতটা প্রয়োজন, খাওয়ার পদ্ধতিও সমান গুরুত্বপূর্ণ, তাই শিশুকে খাওয়ার আদবও জানা উচিত।
3. টাকার প্রয়োজন এবং লেনদেন শেখান
শিশুকে স্বাবলম্বী করতে টাকা লেনদেন, অর্থের গুরুত্ব ও খরচ সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য দিন। সন্তানকে বাঁচাতে শেখান। তাকে পিগি ব্যাঙ্কে টাকা সঞ্চয় করতে দিন। শৈশবে অর্থের প্রয়োজনীয়তা বোঝার মাধ্যমে, শিশুরা ভবিষ্যতে তাদের আর্থিক পরিস্থিতি আরও ভালভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।
4. শিশুকে সময় ব্যবস্থাপনা শেখান
জীবনে সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই। প্রত্যেক পিতা-মাতাকে অবশ্যই তাদের সন্তানকে সময়ের সদ্ব্যবহার করতে শেখাতে হবে। আপনি শিশুকে সময়মতো কাজ করতে শেখান, সময়ের অভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং সময় অনুযায়ী হাঁটতে শেখান। শিশুকে একটি কার্যকলাপ দিন এবং সময়মতো তা সম্পন্ন করার জন্য তার প্রশংসা করুন। খেলার সময় শিশুকে সময়ের গুরুত্ব বোঝানো যায়।
5. স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে শেখান
শিশুকে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস সম্পর্কে শেখান। শিশুকে প্রতিদিন ব্রাশ করা, গোসল করা, বাথরুম ব্যবহার করা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার যত্ন নেওয়া ইত্যাদি অভ্যাস সম্পর্কে বলতে হবে। এ ছাড়া শিশুকে সাধারণ রোগ ও তার লক্ষণ সম্পর্কে বলুন। শিশু যদি রোগ সম্পর্কে সচেতন হয় তবে সে তাদের ভয় পাবে না। জরুরী পরিস্থিতিতে, শিশুদের নিজেদের সামলাতে সক্ষম হওয়া উচিত, এর জন্য তাদের মানবদেহ বোঝা উচিত।